ভূতাত্ত্বিক অবস্থানগত দিক থেকে বাংলাদেশ তিনটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত- একটি ভারতীয় প্লেট, পূর্বদিকে মিয়ানমার প্লেট এবং উত্তরে ইউরেশিয়ান প্লেট। ভারতীয় ও মিয়ানমার প্লেটের সংযোগস্থলে জমা হওয়া শক্তি যেকোনো মুহূর্তে ভূমিকম্পের আকারে বেরিয়ে আসতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন।
বিশেষ করে গত মঙ্গলবার রাতে বঙ্গোপসাগরের গভীরে পরপর চারটি শক্তিশালী ভূমিকম্প বাংলাদেশের জন্য এক নতুন উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাগুলো ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।
টাঙ্গাইলের মধুপুরের ভূগর্ভস্থ ফাটল রেখায় বিগত ১৮৮৫ সালে ৭.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছিল। গবেষকদের ধারণা, যদি সেই ফাটল রেখায় ৬.৯ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়, তাহলে কেবল ঢাকায় প্রায় ৮ লাখ ৬৪ হাজার ভবন ধসে পড়তে পারে, যা রাজধানীর মোট ভবনের ৪০ শতাংশ। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখনই সকলকে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
Comments
Post a Comment